সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • অভিনয়জীবনের শুরুর বিভীষিকা:

    পরিচালকের অশোভন আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন শার্লিজ থেরন

    পরিচালকের অশোভন আচরণ নিয়ে মুখ খুললেন শার্লিজ থেরন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    অস্কারজয়ী অভিনেত্রী শার্লিজ থেরন সম্প্রতি এক পডকাস্টে অভিনয়জীবনের শুরুর দিকে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছেন। ‘কল হার ড্যাডি’ নামের ওই পডকাস্টে অংশ নিয়ে তিনি জানান, এক পরিচালক একবার তাকে শনিবার রাতে অডিশনের কথা বলে নিজের বাসায় ডেকে আপত্তিকর আচরণ করেছিলেন।

    থমকে যাওয়া সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে থেরন বলেন, আমি জানতাম না অডিশনের প্রক্রিয়া কেমন হয়। আমার এজেন্সি বলেছিল একটি ছবির কাস্টিং চলছে, আমাকে শনিবার রাতে যেতে হবে। গিয়েই দেখি তিনি পাজামা পরে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি আমার হাঁটুর ওপর হাত রাখেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে উঠে চলে যাই।

    এই অভিজ্ঞতা প্রথম তিনি ২০১৯ সালে ‘দ্য হাওয়ার্ড স্টার্ন শো’-তে আংশিকভাবে প্রকাশ করেছিলেন। তবে এবার আরও খোলামেলা বললেন, আমার ভেতরের একটা কণ্ঠ বলছিল, ‘এটা ঠিক হচ্ছে না।’ আবার আরেকটা বলছিল, ‘হয়তো এটাই স্বাভাবিক।’ কারণ আমি তখন কিছুই জানতাম না।

    তিনি জানান, এখনো সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ করতে চান না। তার ভাষায়, আমি তাকে রক্ষা করতে চাই না, তবে আমি চাই না গল্পটা তার কেন্দ্র করে আবর্তিত হোক।

    শার্লিজ আরও বলেন, তার সেই বক্তব্য শোনার পর ওই পরিচালক বুঝে যান এটি তার বিরুদ্ধেই বলা হয়েছে। এরপর তিনি অভিনেত্রীকে একটি ‘ভান করা’ চিঠি পাঠান, যাতে ইঙ্গিত ছিল যে থেরন বুঝি বিষয়টি ভুল বুঝেছেন। থেরন বলেন, এটা খুবই চেনা কৌশল। এমনটা তো প্রায়ই হয়।

    তিনি বলেন, আমি তোমার নাম বলব না, কারণ তুমিই জানো তুমি সেই জঘন্য ব্যক্তি। আমি উপভোগ করি যে তুমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকো— না জানো কখন তোমার নামটা উঠে আসবে। এটিই তোমার শাস্তি।

    শেষে শার্লিজ থেরনের স্পষ্ট বার্তা, আমি কাউকে কোনো দিন আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে দেব না। তবে যখন কেউ তোমাকে এমনভাবে ব্যবহার করতে আসে, সেটা খুবই অপ্রত্যাশিত ও অপমানজনক লাগে। সেদিন আমি বুঝে গিয়েছিলাম, আমাকে ডাকা হয়েছিল কোনো শিল্পমূল্য নয়, বরং ভোগের বস্তু হিসেবে দেখা হয়েছিল। এটা ছিল অত্যন্ত অবমাননাকর।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ