এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল


নিশ্চিত করে নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাছাই পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ‘সি’-এর শীর্ষে থেকেই পর্ব শেষ করল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
মূলপর্বে খেলা আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ, ফলে এই ম্যাচ ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তবে মাঠে তার ছিটেফোঁটাও টের পাওয়া যায়নি। কোচ পিটার বাটলারের শিষ্যরা শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলায় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখে এবং গোলের বন্যা বইয়ে দেয় ইয়াঙ্গুনের মাঠে। পুরো ম্যাচেই ছিল তাদের দাপট ও নিয়ন্ত্রণ, যার ফলাফল ৭-০ গোলের বড় জয়।
এই জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বাছাই পর্বে শতভাগ জয় তুলে নেয় এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে পা রাখে আসন্ন মূলপর্বে।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে শেষ করল এএফসি নারী এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাল-সবুজের মেয়েরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই বাংলাদেশ ছিল আক্রমণাত্মক। খেলা শুরু হওয়ার মাত্র তিন মিনিটেই গোল করে দলকে লিড এনে দেন স্বপ্না রানী। এরপর ৬ ও ১৩ মিনিটে শামসুন্নাহার জুনিয়রের জোড়া গোলে দ্রুতই বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায় দল। ধারাবাহিক আক্রমণে ১৬, ১৮ ও ২০ মিনিটে আরও তিনটি গোল করেন মনিকা চাকমা, ঋতুপর্ণা চাকমা ও তহুরা খাতুন। বিরতির আগে ৪২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোল করে দলের সপ্তম ও শেষ গোলটি করেন ঋতুপর্ণা।
প্রথমার্ধেই ৭-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু খেলোয়াড় পরিবর্তন ও কৌশলগত রদবদলের কারণে গোলের গতি থেমে যায়, তবে রক্ষণভাগ কোনো গোল হজম না করে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে তারা।
এই জয়ে বাছাই পর্বে তিন ম্যাচে তিনটি জয় তুলে নিয়ে ৯ পয়েন্ট অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
প্রথম ম্যাচে তারা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক এগিয়ে থাকা বাহরাইনকে ৭-০ ব্যবধানে হারায়।
দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক মিয়ানমারকে ২-১ গোলে পরাজিত করে।
সর্বমোট ১৬ গোল করে ও মাত্র ১টি গোল হজম করে (শক্তিশালী মিয়ানমারের বিপক্ষে) বাংলাদেশ নিজেদের গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসে।
এবার লক্ষ্য আরও বড়। আগামী বছর মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্ব। সেখানে ভালো পারফর্ম করতে পারলে সেরা ছয়ে জায়গা করে নিয়ে ২০২৭ সালের নারী বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। বাছাই পর্বে যেভাবে তহুরা, ঋতুপর্ণা ও শামসুন্নাহাররা খেলেছেন, তাতে করে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশা জাগছে সমর্থকদের মনে।
