মেসির জোড়া ঝলকে মন্ট্রিয়ালকে উড়িয়ে দিল মায়ামি


৩৮ বছর বয়সেও লিওনেল মেসির জাদু যেন কমার নাম নেয় না। ক্যারিয়ারের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি এখনও সেই অসাধারণ খেলোয়াড়, যিনি একাধারে দক্ষতা, গতিশীলতা ও ক্যারিশমার প্রতীক। প্রতিপক্ষের একাধিক ডিফেন্ডারকে ছুঁড়ে দিয়ে গোল করা তার জন্য এখনো কোনো অসাধ্য কাজ নয়। মেসি তার দলের জন্য এককভাবে ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ হয়ে মাঠে নামেন, যিনি মুহূর্তেই প্রতিপক্ষের ডিফেন্সকে বিশৃঙ্খলা ও দুর্বল করে ফেলেন।
এমএলএসে সিএফ মন্ট্রিয়ালের বিপক্ষে জোড়া গোল করে নিজের দুর্দান্ত খেলায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন এই আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তার পারফরম্যান্সের কারণে ইন্টার মিয়ামি ৪-১ গোলে সহজ জয় পেয়েছে, যা প্রমাণ করে যে বয়সে যতই বড় হন, মেসির জাদু ততই তাজা থাকে।
ক্লাব বিশ্বকাপ থেকে হতাশাজনক বিদায়ের পর মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) শক্তি ফিরে পেয়েছে ইন্টার মায়ামি। হাভিয়ের মাসচেরানোর অধীনে দলটি জমিয়ে খেলেছে। ম্যাচের শুরুতে মায়ামির জন্য সবকিছু সহজ ছিল না। মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে লিওনেল মেসির একটি ভুল ব্যাকপাস ধরে নিয়ে মন্ট্রিয়ালের প্রিন্স ওউসু প্রথম গোলটি করে দলকে এগিয়ে নেন। তবে এরপর থেকে পুরো ম্যাচে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে ইন্টার মায়ামি এবং মেসির নেতৃত্বে তারা সহজে জয় নিশ্চিত করে।
ম্যাচ শুরুতেই মায়ামির জন্য ঝড় উঠেছিল, মাত্র দ্বিতীয় মিনিটে লিওনেল মেসির ভুল পাস দখল করে মন্ট্রিয়ালের প্রিন্স ওউসু গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। মন্ট্রিয়াল দ্রুতই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
তবে ৩৩ মিনিটে মেসির পাস থেকে তাদেও আলেন্দে সমতা ফিরিয়ে দেন চিপ শটে। ৪০ মিনিটে নিজেই ডান প্রান্ত থেকে কাট ইন করে চমৎকার এক শটে গোল করে এগিয়ে নেয় ইন্টার মায়ামিকে।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬০ মিনিটে তেলাস্কো সেগোভিয়া দূরপাল্লার শটে তৃতীয় গোল করেন। এর পর মাত্র দুই মিনিট পর, ৬২ মিনিটে লিওনেল মেসি দুর্দান্ত এক একক দৌড়ে চার প্রতিপক্ষকে ফাঁকা মাঠে কাটিয়ে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি জড়ান।
এই গোলগুলো নিয়ে মেসির এমএলএসের শেষ চার ম্যাচে গোলের সংখ্যা দাঁড়ালো সাতটিতে। চলতি মৌসুমে ১৪ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা এখন ১২।
ম্যাচ শেষে কোচ হাভিয়ের মাসচেরানো বলেছেন, “এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জয়। ক্লাব বিশ্বকাপের পর ফিরে এসে এমএলএসে তিন পয়েন্ট পাওয়া সহজ ছিল না, তবে খেলোয়াড়রা দ্রুত মানিয়ে নিয়েছে। আর মেসি যখন থাকে, তখন আমরা সবসময় এগিয়ে থাকি।”
