রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • সোনারগাঁয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

    সোনারগাঁয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের পানাম গাবতলী গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলী ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি শুক্রবার (৪ জুলাই ২০২৫) বাদ জুমা শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৭৫ বছর।

    তিনি মরহুম আঃ করিম বেপারীর চার পুত্রের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন। বাদ মাগরিব সোনারগাঁ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বালুয়াদিঘির পাড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বালুয়াদিঘির পাড় সামাজিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

    জানাজায় নামাজ পড়ান মরহুমের নাতি হাফেজ আজগার আলী। দাফনের সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সোনারগাঁ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল, যারা তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী শরাফত আলীর পিতা ও দাদা বালুয়াদিঘির পাড়ে কবরস্থানের জন্য জমি দান করেছিলেন। তিনি ছিলেন অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ এবং বালুয়াদিঘির পাড় হাফিজিয়া মাদ্রাসা-মসজিদের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।

    ব্যক্তি জীবনে তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ছিলেন এবং রাজনীতি থেকে সবসময় নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা হয়েও তিনি কখনও নিজের পরিচয়ে অহংকার প্রকাশ করেননি, এমনকি মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে কোনো সুযোগ-সুবিধাও গ্রহণ করেননি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

    তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। মৃত্যুকালে তিনি এক কন্যা, জামাতা, নাতি-নাতনি, ভাই-ভাতিজা ও বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী কয়েক বছর আগে ইন্তেকাল করেন। এরপর তিনি মেয়ের বাড়িতেই বসবাস করতেন।


    এন কে/বিএইচ/আমির
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ