রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • কুবিতে 'জুলাই স্মৃতিচারণ' করতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন

    কুবিতে 'জুলাই স্মৃতিচারণ' করতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে 'জুলাই স্মৃতিচারণ' করা হয়েছে। শুক্রবার (০৪ জুলাই) প্রথম প্রহরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন ‘জুলাই আন্দোলন’-এর নেতৃত্বে থাকা সমন্বয়ক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

    গতবছরের জুলাইয়ের দিনগুলোতে উচ্চারিত স্লোগানগুলো যেন আবারও ফিরে আসে উপস্থিত সকলের কণ্ঠে। এসময় শিক্ষার্থীদের মুখে 'জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, 'ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ', 'গোলামি না আজাদি,  আজাদি আজাদি', 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার', 'কে বলেছে? কে বলেছে?, স্বৈরাচার স্বৈরাচার', 'কোটা না মেধা, মেধা মেধা'- শীর্ষক স্লোগানে প্রকম্পিত হয় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণ।

    গত বছরের ৪ জুলাই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় অবরোধের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় শুরু হয় ‘জুলাই আন্দোলন'। সেইদিন ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে ৪ দফা দাবি ঘোষণা করে ওইদিনের মত আন্দোলন স্থগিত করেছিল কুবি শিক্ষার্থীরা। সেই ঐতিহাসিক দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং ‘জুলাই স্পিরিট’কে জীবন্ত রাখতেই এই ‘জুলাই স্মৃতিচারণ’ আয়োজন। মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে আন্দোলনের চেতনাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। 

    এসময় উপস্থিত মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক পাবেল রানা বলেন, 'গত ২৪-এর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ৩ জুলাই রাতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে আমরা কর্মসূচির ঘোষণা দিই এবং পরদিন ৪ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করি। কুমিল্লার গণআন্দোলন শুরু হয়েছিল এই কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। এরপর ১১ জুলাই আমরা সারা দেশে প্রথম পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে কর্মসূচি পালন করি। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত ৩৫ দিনের জুলাই ক্যালেন্ডারে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করা হয়নি। এ নিয়ে আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি, বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচিত হবে।'

    বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিলা জেলার আহ্বায়ক মোহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, 'কুমিল্লা জেলায় গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম আন্দোলন করেছিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই দিনটিকে স্মরণ করে আমরা মোমবাতি প্রজ্বলন করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান থেকে যেন কুমিল্লার অবদান না মুছে যায়, ঊর্ধ্বতন যারা আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি। ১১ তারিখে আমরা একটা অনুষ্ঠান আয়োজন করব। আর এই দিনটাকে ক্যালেন্ডারভুক্ত করতে আমরা আবেদন জানাইছি। আমরা আশাকরি খুব দ্রুতই একটা সমাধান পাব।'


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন