সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু

    আবাসিক হোটেলে স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর রহস্যজনক মৃত্যু
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    রাজধানীর মগবাজারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রবাসী ও তার স্ত্রী এবং সন্তানের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের অভিযোগ, হোটেলের খাবারে বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

    নিহতরা হলেন সৌদিপ্রবাসী মনির হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৬) ও ছেলে নাঈম হোসেন (১৮)। তারা লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের ছেরাজুল হক বেপারী বাড়ির বাসিন্দা।

    রবিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় ডিএমপির রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক আনোয়ার হোসেন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাকির হোসেন মৃধার ভাষ্যমতে, মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত। তারা শুনেছেন খাদ্য বিষক্রিয়ায় প্রবাসী মনির ও তার স্ত্রী-সন্তান মারা গেছেন। তবে বিস্তারিত তথ্য নেই তাদের কাছে। 

    নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার (২৮ জুন) প্রতিবন্ধী ছেলে নাঈমের চিকিৎসার জন্য স্ত্রী স্বপ্নাকে সঙ্গে নিয়ে মনির ঢাকায় আদ্ব-দীন হাসপাতালে যান। সেখানে সিরিয়াল না পেয়ে ছেলেকে ডাক্তার দেখাতে পারেননি। পরে রাতে মগবাজার সুইটস লিভ নামে একটি হোটেলে রাত যাপন করেন। সেখানেই খাবার খাওয়ার পর তারা বমি করতে থাকেন। পরে তাদের আদ্ব-দীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন রবিবার সকালে স্বপ্না, এর কিছুক্ষণ পর নাঈম ও দুপুরের দিকে মনির মারা যান। হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভাষ্য মতে, খাদ্য বিষক্রিয়ার কারণেই তারা মারা গেছেন।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, মনির সৌদিপ্রবাসী ছিলেন। তিনি সেখানে ব্যবসা করতেন। অসুস্থ ছেলেকে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ তিনি মারা গেছেন। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়নি। 

    ডিএমপির রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক বলেন, চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন খাদ্য বিষক্রিয়া থেকেই একই পরিবারের ৩ জন মারা গেছেন। এর সঙ্গে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ