রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • এবার বিজ্ঞানীরা নতুন রক্তের গ্রুপ শনাক্ত করেছেন

    এবার বিজ্ঞানীরা নতুন রক্তের গ্রুপ শনাক্ত করেছেন
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    দীর্ঘ সময় পর ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা বিশ্বের ৪৮তম নতুন রক্তের গ্রুপ চিহ্নিত করেছেন। নতুন রক্তের গ্রুপটি গোয়াডেলুপ নামক ক্যারিবীয় অঞ্চলের এক নারীর শরীরে। বিজ্ঞানীরা এই রক্তের গ্রুপের নাম দিয়েছেন ‘গোয়াদা নেগেটিভ’, যা ওই নারীর আঞ্চলিক পরিচয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্ধারণ করা হয়েছে।

    ২০১১ সালে ওই নারী একটি সার্জারির আগে রুটিন রক্ত পরীক্ষায় অংশ নেন। তখনই তার রক্তে একটি বিরল অ্যান্টিবডি শনাক্ত করা হয়। কিন্তু তখন পর্যাপ্ত প্রযুক্তি ও গবেষণা সামর্থ্য না থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান সম্ভব হয়নি। পরে, ২০১৯ সালে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ডিএনএ সিকোয়েন্সিং প্রযুক্তির মাধ্যমে গবেষকরা এই বিরল জিনগত বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করতে সক্ষম হন।

    এই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে ফ্রেঞ্চ ব্লাড এস্টাবলিশমেন্ট (EFS), যেটি ফ্রান্সের জাতীয় রক্ত সঞ্চালন সংস্থা। তারা এটিকে “বিশ্বে প্রথম” বলেও উল্লেখ করেছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই নারীই এই রক্তের গ্রুপের একমাত্র পরিচিত বাহক। এর অর্থ হলো, তার শরীরে যদি কখনো রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে কেবল নিজের রক্তই তার জন্য উপযোগী।

    গবেষকদের মতে, এটি বংশগত রোগ, যার ফলে ধারণা করা হচ্ছে, তার মা ও বাবা উভয়েই সংশ্লিষ্ট জিনের রূপান্তরিত রূপ বহন করেন।এই রক্তের গ্রুপটি সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি অফ ব্লাড ট্রান্সফিউশনকর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। ফ্রেঞ্চ ব্লাড এস্টাবলিশমেন্ট-এর বায়োলজিস্ট থিয়েরি পেয়ারার মতে, রক্তের নতুন গ্রুপ শনাক্ত করা মানে হচ্ছে  বিরল রক্তধারী রোগীদের জন্য আরও উন্নত চিকিৎসা ও যত্ন নিশ্চিত করা।

    বর্তমানে গবেষকরা চেষ্টা করছেন বিশ্বজুড়ে আরও এমন ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে, যাদের শরীরেও ‘গোয়াদা নেগেটিভ’ রক্তধারা থাকতে পারে। এমন ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা গেলে, ভবিষ্যতে এই বিরল গ্রুপধারীদের চিকিৎসায় অনেকটা সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।


    দৈএনকে/জে .আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ