সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া

    কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে রঙিন কৃষ্ণচূড়া
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ‎গ্রীষ্মকাল মানেই রোদ আর খরার মৌসুম। কিন্তু সেই খরার মাঝেও প্রকৃতি যেন রঙের তুলিতে আঁকে এক নতুন ছবি। আর সেই ছবির অন্যতম অনিন্দ্য প্রকাশ হলো কৃষ্ণচূড়া ফুল। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের  প্রবেশ করলেই চোখে পড়ে অপূর্ব এক দৃশ্য। ইউনিয়নের  প্রবেশমুখে দণ্ডায়মান ১টি কৃষ্ণচূড়া গাছ যেন স্বাগত জানায় আগন্তুকদের।  লাল-কমলার এক অপরূপ রঙে সেজেছে পুরো ইউনিয়ন পরিষদ, দেখে মনে হয় যেন ফুল দিয়ে সাজানো কোনো স্বপ্নের দরজা।

    ‎এই কৃষ্ণচূড়া গাছটি এখন শুধু গাছ নয়, হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের  সৌন্দর্যের প্রতীক। গ্রীষ্মকালের প্রখর রোদেও এই রঙিন দৃশ্য এনে দেয় প্রশান্তি।

    ‎সরজমিনে দেখা যায়, কমলগঞ্জ  উপজেলার  সদর ইউনিয়ন পরিষদের মূল  প্রবেশ মুখেই দাঁড়িয়ে আছে ১টি কৃষ্ণচূড়া গাছ। গাছটিতে রক্ত লাল ফুল ফুটে আছে। ফুটে থাকা রক্তিম লাল ফুলগুলো সৃষ্টি করেছে এক বৈচিত্র্যময় পরিবেশ। প্রতি বছর গ্রীষ্মের শুরুতে গাছটি এমন মুগ্ধতা ছড়ায়। গাছটি দেখে পথচারীরা একটু দাঁড়িয়ে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। নতুন যারা এ ইউনিয়নে আসেন গাছটি দেখে তারা অবাক হন। কেননা গাছটিকে দেখলে মনে হয় যেন কৃষ্ণচূড়া ফুল দিয়ে সাজানো একটি দরজা। প্রতিদিন বিকেল হলেই আশেপাশের এলাকা থেকে তরুণ-তরুণীরা এসে ভিড় করেন এই ফুলেল প্রান্তে। কেউ হাঁটেন, কেউ প্রকৃতির সঙ্গে ছবি তোলেন, কেউবা বসে পড়েন গাছের ছায়ায়, প্রকৃতির সৌন্দর্যে ডুবে যেতে।

    সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ সুলেমান হাসান বলেন  গ্রীষ্মকালে এর ডালপালা জুড়ে লাল-কমলা রঙের ফুল ফুটে ওঠে, যা একে অন্যান্য গাছ থেকে আলাদা করে তোলে। এছাড়া পাখির বাসার মতো বিস্তৃত ডালপালা আর ছায়া প্রদানকারী বৈশিষ্ট্য থাকায় এটি ছায়াগাছ হিসেবেও বিখ্যাত। এটি শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং  তাপমাত্রা কমানো এবং বায়ু পরিশোধনে সহায়ক একটি বৃক্ষ। তবে সম্প্রতি অনেক এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং সচেতন বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে এই সৌন্দর্যময় গাছটিকে আমাদের রক্ষা করা উচিত।

    ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান- ৩ আমিনা বেগম  বলেন

    কৃষ্ণ চূড়া গাছটি ইউনিয়ন পরিষদের  পরিবেশটা পরিবর্তন করে ফেলেছে ইউনিয়ন পরিষদের মেইনগেইটি হওয়ার পরে  আর কয়েকটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। সামনের ওয়াল আর গেইটির কাজ শেষে হলে রক্ষণাবেক্ষণ করা যাবে।


    রাজু দত্ত, কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ