ভুয়া সনদে চাকরি, দুর্নীতির পাহাড়: বিসিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ


ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ ব্যবহার করে সরকারি চাকরি নেওয়া এবং কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে বিসিক বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী এ.কে.এম কামরুজ্জামান (সবুজ)-এর বিরুদ্ধে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের জ্ঞানদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান দাবি করেছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু স্থানীয়দের দাবি, তার পিতা ইমারত হোসেন মোল্লা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন এবং আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ ব্যবহার করে জাল সনদ তৈরি করে গেজেটে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের কয়েক বছরের মধ্যেই কামরুজ্জামান ফরিদপুর শহরসহ আশেপাশের এলাকায় জমি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। তার নামে ও তার স্ত্রী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নামে রাজধানীর উত্তরা, পূর্বাচলসহ বিভিন্ন এলাকায় সম্পত্তি রয়েছে।
বিভিন্ন ঠিকাদার ও ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, কামরুজ্জামান ঠিকাদারদের হয়রানি, আত্মীয়স্বজনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পেছনে প্রভাব খাটানো, বদলি বাণিজ্য, নিয়োগে অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
মাদারীপুর বিসিক প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতে সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও তার পরিবারের সদস্যদের নাম ব্যবহার করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এছাড়া, বিভিন্ন সরকারি নির্মাণ প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ, বালু ভরাট ও রড কম দেয়ার মতো অনিয়মের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
বিসিক ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বর্তমানে এসব অভিযোগ তদন্ত করছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কামরুজ্জামান। তিনি দাবি করেন, “আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। পারিবারিক শত্রুতার জেরে আমার বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হয়েছে।”
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি জানি আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। গেজেটে তার নাম কখন উঠেছে, তা আমার জানা নেই।”
ফরিদপুর, জেলা প্রতিনিধি
