সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • চিকিৎসকদের মতে, খাবারও হতে পারে ওষুধের বিকল্প

    চিকিৎসকদের মতে, খাবারও হতে পারে ওষুধের বিকল্প
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    খাবার সত্যিই ওষুধের মতো কাজ করতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে কীভাবে এবং কোন উদ্দেশ্যে সেই খাবারটি ব্যবহৃত হচ্ছে। সঠিক খাদ্য নির্বাচনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস, এবং আরও অনেক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। অনেক খাবারে এমন কিছু পুষ্টি উপাদান থাকে, যেগুলি শরীরের সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে এবং নির্দিষ্ট কিছু রোগের চিকিৎসাতেও ভূমিকা রাখতে পারে।

    কিছু উদাহরণ:

    1. হৃদরোগের প্রতিরোধ:
      ফ্যাটযুক্ত মাছ, যেমন স্যামন এবং ট্রাউট, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। এছাড়া, শাকসবজি এবং ফলমূলও হার্টের জন্য ভালো, কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে।

    2. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ:
      সুষম খাদ্য, যেমন হোল গ্রেইন (যেমন ব্রাউন রাইস, ওটমিল), শাকসবজি এবং শস্য জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাছাড়া, মধু, দারুচিনি এবং মেথি ডায়াবেটিসের ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হতে পারে।

    3. ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি:
      সাইট্রাস ফল (লেবু, কমলা, আমলকি) ভিটামিন সি-তে সমৃদ্ধ, যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া, আদা এবং হলুদও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রভাব তৈরি করে।

    4. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানো:
      টমেটো, ব্রকলি, এবং পেঁপে এন্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে সমৃদ্ধ, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে। স্যালমন, লবস্টার, এবং অন্যান্য সি-ফুডসেও বিশেষ কিছু পুষ্টি থাকে যা শরীরের কোষের সুরক্ষা করে।

    খাবারের মাধ্যমে চিকিৎসা:

    কিছু খাবার ওষুধের মতো কাজ করতে পারে, তবে এটি সঠিক পরিমাণ এবং পরামর্শ অনুযায়ী হতে হবে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের খাদ্য বা ডায়েট পরিবর্তন করা উচিত নয়, কারণ প্রতিটি ব্যক্তির শরীরের চাহিদা আলাদা এবং বিভিন্ন রোগের জন্য আলাদা খাদ্য প্রোগ্রাম প্রয়োজন। একে একে পুরো খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করার চেয়ে চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক পরামর্শ নিয়ে পরিকল্পনা করা নিরাপদ।

    উপসংহার:

    খাবার শুধুমাত্র শক্তি এবং পুষ্টির উৎস নয়, এটি আমাদের শরীরের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, রোগ নিরাময়ের জন্য খাবার ব্যবহার করা হলে, এটি পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে করা উচিত, কারণ একটি ভুল সিদ্ধান্ত শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ