সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • কটিয়াদীতে ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস,নেই বৃষ্টির দেখা

    কটিয়াদীতে ভ্যাপসা গরমে নাভিশ্বাস,নেই বৃষ্টির দেখা
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল সারাদেশসহ কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের শিশু থেকে বৃদ্ধ ও সকল মানুষ। কোথাও স্বস্তি নেই। ভোর কিংবা রাতেও গরমের তেজ কমছে না। টানা তিন দিন ধরে এমনই দহন জ্বালায় জ্বলছে দেশ। নেই বৃষ্টির দেখা। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

    কটিয়াদীরের আশপাশে ছাড়া অনেক এলাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে। বৈশাখের শেষ বেলায় এসে দেশজুড়ে বয়ে চলা তাপপ্রবাহের মধ্যে তিন দিনের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ছুটির দিনে সকাল থেকেই তেতে পুড়ে ছিল কটিয়াদী উপজেলা জুড়ে। এর প্রভাবে ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে তাপপ্রবাহ অনুভূত হচ্ছে। এ ভ্যাপসা গরম থেকে কবে মুক্তি– আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে সাধারণ মানুষ। 

    আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তাপপ্রবাহ আগামীকাল সোমবার ধীরে ধীরে কমে আসতে পারে। ওই দিন থেকে বৃষ্টি ও কালবৈশাখী হতে পারে। সোমবার থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যদি বৃষ্টি হয়, তাহলে ধীরে ধীরে তাপপ্রবাহ ১৮ বা ১৯ মের মধ্যে কমে আসতে পারে। এই সময়ে কালবৈশাখীরও সম্ভাবনা রয়েছে। 

    প্রচণ্ড গরম মানুষের জীবনকে করে তুলেছে বিপর্যস্ত। তৈরি হচ্ছে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি। কটিয়াদী সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রভাষক  এস এম জুহুর আলী বলেন, এ গরমকে বৈজ্ঞানিকভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বলা হয়। অনেক দেশে এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সতর্কতা জারি করা হয়। প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেন ঘর থেকে বের না হন, সে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে তা নেই। শীত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা বন্যায় সরকার মানুষকে সহায়তা করে। এমন গরমেও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সরকারের অনুদান জরুরি।

    উপজেলার একজন সচেতন ব্যক্তি জানায়, টানা তিন চারদিন ধরে ৪০ ডিগ্রির ওপরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। ঘরের বাইরে গেলেই আগুনের হলকা লাগছে চোখে-মুখে। 

    উপজেলা বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না। প্রচণ্ড গরমের কারণে উপজেলার রাস্তাঘাট দুপুরের আগেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে রিকশাচালক, নির্মাণ শ্রমিক ও দিনমজুররা রোদ ও গরম উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ