সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • ফুল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের রাজকীয় বিদায়

    ফুল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে ইমামের রাজকীয় বিদায়
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    নাটোরের লালপুরে ৪০ বছর ইমামতি শেষে মসজিদের ইমামকে রাজকীয় বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। ফুল সজ্জিত ঘোড়ার গাড়িতে করে তাকে তার বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়, এবং এ সময় গ্রামের নারী-পুরুষরা আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বাদ জুম্মা উপজেলার চংধুপইল ইউনিয়নের গোসাইপুর-মিল্কিপাড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম জিল্লুর রহমান (৭০) এর সম্মানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিদায় সংবর্ধনা আয়োজন করা হয়। জিল্লুর রহমান উপজেলার আড়বাব গ্রামের সোবহান মোল্লার ছেলে। এলাকাবাসী জানান, ১৯৮৫ সাল থেকে তিনি ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি নিজেই স্বেচ্ছায় ইমামের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন, এবং তার সম্মানে তাকে এই বিদায় দেওয়া হয়। 

    এদিন বিকালে তাকে ঘোড়ার গাড়িতে করে রাজকীয়ভাবে বিদায় দেওয়া হয়। এলাকাবাসী, মুরব্বি ও সর্বস্তরের মানুষ একসাথে তাকে ঘোড়ার গাড়িতে চড়িয়ে এবং পেছনে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে তার বাড়ি আড়বাব গ্রামে পৌঁছে দেন।  

    মসজিদ কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান বলেন, "জিল্লুর রহমান দীর্ঘ ৪০ বছর আমাদের মসজিদে ইমামতি ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি বার্ধক্যে পৌঁছেছেন। তিনি আমাদের অভিভাবক ছিলেন, গ্রামের মানুষ তার পরামর্শ নিয়ে কাজ করতেন, তাই তাকে বিদায় দেওয়ার সময় আমরা তাকে রাজকীয় সম্মান জানাতে চেয়েছি।"

    ইমাম জিল্লুর রহমান আবেগভরা কণ্ঠে বলেন, "আমি সারাজীবন দ্বীনের সেবায় কাটিয়েছি এবং এই এলাকার মানুষকে কুরআন শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করেছি। আমি এখন অনেক বয়স্ক হয়ে গেছি, যে কোনো সময় আপনাদের ছেড়ে পরকালে চলে যেতে হবে, তাই সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন। মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে, আগে বুঝতে পারিনি। আল্লাহ পাক আমাকে এই সম্মান দিয়েছেন, তার দরবারে হাজারো শুকরিয়া। আমি সত্যিই মুগ্ধ এবং কৃতজ্ঞ।"


    নতুন/কাগজ/ইউসুফ/নাটোর
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ