সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • জ্বালানি তেল

    নামমাত্র মূল্যহ্রাস

    নামমাত্র মূল্যহ্রাস
    জ্বালানি তেল/ ফাইল ছবি
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সরকার প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন তেলের দাম মাত্র ৭৫ পয়সা, অকটেনের দাম ৪ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৩ টাকা কমিয়েছে, যা জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে মোটেই সংগতিপূর্ণ নয়। অথচ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কদিন আগেই বলেছিলেন, দেশে জ্বালানি তেলের দামে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। কিন্তু বাস্তবে যা করা হলো, তা নামমাত্র মূল্যহ্রাস। অবশ্য বলা হচ্ছে, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয়েছে। এভাবে প্রতি মাসেই দাম সমন্বয় করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তেলের দাম আরও বেশি কমানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) মুনাফার হার বাড়াতে তেলের দাম কমানো হয়েছে তুলনামূলক কম। জানা যায়, ভর্তুকি সমন্বয়ের কথা বলে দাম বাড়ানোর পর গত অর্থবছরে বিপিসির মুনাফা হয়েছে ৪ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। তারা সরকারকে লভ্যাংশ দিয়েছে ২০০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসেও ৫০০ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছে সংস্থাটি; অথচ দাম সমন্বয় করা হয়নি। স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি চালুর কথা ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। ৬ মাস পর এখন সেটা চালু করা হলো।

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয়ের উদ্যোগে ভোক্তা পর্যায়ে তেমন কোনো সুফল মিলবে না। কারণ এদেশে তেলের দাম কমলে পরিবহণ ভাড়া কমে না; কিন্তু দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে পরিবহণ ভাড়া বেড়ে যায়। এ অবস্থায় তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে হলে যখন বিশ্ববাজারে দাম কম এবং দেশে বেশি থাকে, তখন বাড়তি মুনাফা আলাদা তহবিলে রাখতে হবে। আবার যখন বিশ্ববাজারে দাম বাড়বে, তখন দেশে দাম না বাড়িয়ে ওই তহবিলের অর্থ দিয়ে সমন্বয় করতে হবে। উল্লেখ্য, সরকার ২০২২ সালের আগস্টে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে গণপরিবহণ, কৃষি, শিল্প, পণ্য ও সেবা খাতে। দেশের মানুষ যখন তীব্র মূল্যস্ফীতির সঙ্গে টিকে থাকার লড়াই করছিল, তখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি তাদের এ লড়াইকে আরও কঠিন করে তোলে। স্বভাবতই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে।

    বস্তুত জ্বালানি তেলের মূল্যের সঙ্গে দেশের অন্যান্য খাতের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। তাই এর দাম বৃদ্ধি, হ্রাস বা সমন্বয় যা-ই করা হোক না কেন, তা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে করা উচিত। দেশে জ্বালানি তেলের দামের উল্লম্ফনের পর বিশ্ববাজারে এর দাম কমে আসছিল অনেক দিন ধরেই। কাজেই আরও আগে দেশে জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে এর সুফল পেত দেশবাসী। এখন সরকার যখন বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণের পদক্ষেপ নিয়েছে, তখন এর সুফল যাতে দেশবাসী পায়, তার ব্যবস্থাও করা দরকার। এক্ষেত্রে বিপিসির স্বার্থের চেয়ে জনগণের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হবে, এটাই কাম্য।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ