সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী-শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ

    অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রী-শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানীর অভিযোগ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    দেশ, জাতি কিংবা মানচিত্রে ভেদাভেদ থাকলেও সারা বিশ্বে সকল জাতি ধর্মের মানুষের মধ্যে গুরু/শিক্ষক ভক্তির রীতি ও আবেগ যেন এক ও অভিন্ন। তবে বর্তমানে এই আবেগের হচ্ছে অবক্ষয়; কিছু শিক্ষকের মুখোশধারী বিকলাঙ্গ মানসিকতার নরপিশাচদের কর্মকাণ্ডে। এমনই এক মুখোশধারী শিক্ষকের যৌন হয়রানীর শিকার রাজধানীর শের-ই-বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের একাধিক ছাত্রী শিক্ষিকা। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ওই লম্পট শিক্ষক।

    রাজধানীর মধুবাগ এলাকার শের-ই বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী–শিক্ষিকাদের ক্রমাগত যৌন নির্যাতন ও নিগ্রহের মত কলঙ্কজনক অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার প্রতিকার পায়নি। 

    উপরন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল স্যারের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন এই অধ্যক্ষ।

    শেরে-ই বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের যৌন নির্যাতন ও নিগ্রহের বিষয়টি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেও ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় তুলেছে।

    সম্প্রতি শের-ই বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের এক মেয়ে শিক্ষার্থী অধ্যক্ষ কর্তৃক ফোনালাপের যৌন নিগ্রহের বিষয়ে তার বান্ধবীর কাছে বর্ণনা করছে এমন একটি কল রেকর্ড প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। 

    যেখানে ঐ শিক্ষার্থী স্পষ্ট করে তার বান্ধবীকে বলছে যে, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার তাকে একাকী সময় কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

    অনুসন্ধানকালে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী বেশ কয়েকজন শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে আরো বিস্তরভাবে জানা গেছে, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বেপরোয়া যৌন হয়রানির সম্পর্কে। তারা বলেন, বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসী, শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত অভিযোগ করা হলেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

    সূত্র জানায়, শের-ই বাংলা স্কুল এন্ড কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে পূর্ববর্তী তথ্য গোপন রেখে যোগদানের অভিযোগ আছে। এর আগে তার সাবেক কর্মস্থল বগুড়া পুলিশ লাইন হাই স্কুল এন্ড কলেজেও অতিরিক্ত ভর্তি ফি গ্রহণ, ফরম পূরণ আমানত ফেরৎ না দেয়া, পরীক্ষায় পুরাতন উত্তরপত্র বিক্রি, গাড়ি ক্রয়, রড বিক্রি, শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্য ও নারী কেলেঙ্কারিসহ অনৈতিক নানান কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তিনি। তার এসব দুর্নীতি ও নারী কেলেঙ্কারির ঘটনাগুলো সেই সময় বগুড়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচার করা হয়েছিল।

    জানা গেছে, মূলত এরপরই বগুড়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হক পিপিএম ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং বগুড়া পুলিশ লাইন হাই স্কুল এন্ড কলেজে দায়িত্ব পালনকালে রোটারিয়ান অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তারকে ২০১২ সালের ১৯ আগস্ট সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

    মধুবাগ এলাকার বাসিন্দা উজ্জল সাক্ষাৎকারে জানান, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার কর্তৃক ছাত্রী ও শিক্ষিকাদের যৌন হয়রানীর বিষয়টি এলাকার সকলেই জানেন সকলের মুখে মুখে থাকা সত্ত্বেও এমন একটি চাঞ্চল্যকর ঘৃণিত বিষয়ে কোন প্রকার পদক্ষেপ না হওয়ায় হতাশ এলাকাবাসী।

    অবশেষে এসব অভিযোগের বিষয়ে অধ্যক্ষ আবদুস সাত্তারের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন