সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • গরুর মাংসের বাজারে ক্রেতা সংকট, স্বস্তি মুরগি-মাছের দামে

    গরুর মাংসের বাজারে ক্রেতা সংকট, স্বস্তি মুরগি-মাছের দামে
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    রাজধানীর বাজারগুলোতে গরুর মাংসের দাম চড়া থাকায় অনেকেই বিকল্প হিসেবে মুরগি ও মাছের দিকে ঝুঁকছেন। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। অন্যদিকে, তুলনামূলকভাবে কম দামে মিলছে ব্রয়লার ও অন্যান্য জাতের মুরগির মাংস, যার ফলে সেই দিকেই ঝুঁকছেন বেশিরভাগ ক্রেতা।

    শুক্রবার (২০ জুন) সকালে রাজধানীর বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রীসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র উঠে আসে।

    মুরগির দামে স্বস্তি: বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি: ২৩০–২৪০ টাকা, দেশি মুরগি: ৫০০–৫৫০ টাকা, 
    সাদা লেয়ার: ২৩০ টাকা, লাল লেয়ার: ২৪০ টাকা, হাঁস (প্রতি পিস): ৬০০–৭০০ টাকা। মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, দাম কম থাকায় বিক্রিও ভালো। অনেক ক্রেতা বেশি পরিমাণে কিনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করছেন।

    রামপুরা বাজারের বিক্রেতা রাসেল মিয়া বলেন, “বাজার অস্থির। কেউ মুরগি ধরে রাখতে চায় না। রাখতে গেলেই মারা যায়। তাই লাভ না হলেও ছাড় দিয়ে বিক্রি করছি।”

    আরেক বিক্রেতা সাইদুল ইসলাম বলেন, “লাভ খুব একটা নেই, তবে খরচটা উঠছে এতেই খুশি।”

    গরু ও খাসির মাংসে আগুন: গরুর মাংস: ৭৮০–৮০০ টাকা/কেজি, খাসির মাংস: ১,২৫০ টাকা/কেজি, ছাগলের মাংস: ১,১০০ টাকা/কেজি।

    গৃহিণী মনিরা বেগম বলেন, “এক কেজি গরুর মাংস নিয়েছি ৮০০ টাকায়। দাম অনেক বেশি, কিন্তু কিছু করার নেই। দামাদামির সুযোগও নেই।”

    স্কুল শিক্ষক বিল্লাল হোসেন জানান, “গরুর মাংস এখন দামের কারণে একরকম বিলাসিতা। মুরগির মাংসই বেশি নিচ্ছি—বাচ্চারাও সেটা বেশি পছন্দ করে।”

    মাছের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা: বেশিরভাগ মাছের দাম আগের মতোই রয়েছে। কিছু মাছের দাম সামান্য বেড়েছে বা কমেছে। রুই: ৩০০–৩৫০ টাকা, কাতল: ৩৪০–৪০০ টাকা, চিংড়ি: ৭০০–৮০০ টাকা, টেংরা: ৬০০–৭০০ টাকা, চাষের শিং, মাগুর: ৫০০ টাকা, চাষের কৈ: ২০০–২৫০ টাকা, পাঙাশ: ১৮০–২২০ টাকা, তেলাপিয়া: ১৫০–২২০ টাকা, বোয়াল: ৬০০–৭০০ টাকা, পোয়া: ৪০০ টাকা, আইড়: ৭০০–৭৫০ টাকা, দেশি কৈ: ৮০০–১০০০ টাকা, দেশি শিং: ১০০০–১২০০ টাকা

    মহাখালী কাচাঁ বাজার এলাকার মাছ বিক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, “মাছের দাম খুব বেশি ওঠানামা করছে না। ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে অন্য মাছের বিক্রি ভালো।”


    এন কে/বিএইচ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ