সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনে সরকারের অধ্যাদেশ জারি

    ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ গঠনে সরকারের অধ্যাদেশ জারি
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণে সরকার পৃথক একটি অধিদপ্তর গঠন করেছে। এ লক্ষ্যে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৭ জুন) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার এবং জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ নামে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়। নতুন অধিদপ্তর গঠনের সঙ্গে সঙ্গে এ সংক্রান্ত পূর্বের বিশেষ সেলটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে, যা এতদিন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় পরিচালিত হতো।

    অধ্যাদেশ অনুযায়ী, নতুন এই অধিদপ্তর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কল্যাণ ও পুনর্বাসনের পাশাপাশি অভ্যুত্থানের আদর্শ ও ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে। অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় হবে ঢাকায়, তবে প্রয়োজনে বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও এর শাখা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে।

    এ অধিদপ্তর শহীদ ও আহতদের তালিকা ও ডেটাবেজ সংরক্ষণ করবে এবং সরকার নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী এককালীন ও মাসিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া পুনর্বাসন কার্যক্রমে দেশি ও বিদেশি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয় করবে।

    অধ্যাদেশে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ এবং জুলাই যোদ্ধা কল্যাণ ও পুনর্বাসন তহবিল’ নামে একটি নির্দিষ্ট তহবিল গঠনের কথাও বলা হয়েছে। এই তহবিলে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুদান গ্রহণযোগ্য হবে।

    তদুপরি, ইতিহাস সংরক্ষণের অংশ হিসেবে অধিদপ্তর গবেষণা কার্যক্রম চালাতে পারবে এবং শহীদদের গণকবর ও সমাধিস্থল সংরক্ষণ, স্মৃতিফলক নির্মাণের কাজ করবে।

    প্রতারণা রোধে অধ্যাদেশে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। কেউ যদি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে শহীদ পরিবার বা আহত যোদ্ধা পরিচয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেন, তবে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানা বা গৃহীত সুবিধার দ্বিগুণ অর্থদণ্ড দেওয়া হবে।


    এন কে/বিএইচ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন