সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • সানা পড়তে ভুলে গেলে কি করতে হবে নামাজে

    সানা পড়তে ভুলে গেলে কি করতে হবে নামাজে
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    নামাজের শুরুতে তাকবিরে তাহরিমার পর অনুচ্চস্বরে সানা পড়া সুন্নতে মুআক্কাদা। তাকবিরে তাহরিমার পর হাত বেঁধেই প্রথম কাজ হলো সানা পড়া। একা নামাজ আদায়কারী, ইমাম ও মুক্তাদি সবার জন্যই সানা পড়া সুন্নত।

    নামাজে সানা পড়তে ভুলে গেলে সাহু সেজদা দিতে হয় না। যেহেতু সানা পড়া ওয়াজিব নয়, সুন্নত। সুন্নত ছুটে গেলে সাহু সেজদা দিতে হয় না। তবে সুন্নত যেন না ছুটে যায় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত।

    মুক্তাদি যদি ইমাম সানা পড়ে ফেলার পর নামাজে শরিক হন এবং ইমাম উচ্চৈস্বরে কেরাত পড়তে থাকেন, তাহলে মুক্তাদি সানা না পড়ে ইমামের তিলাওয়াত শুনবেন। ইমাম নিম্নস্বরে কেরাত পড়তে থাকলে মুক্তাদি নামাজে শরিক হয়ে সানা পড়তে পারেন।

    কারণ ইমাম যখন কোরআন তিলাওয়াত করেন, তখন ইমামের তিলাওয়াত শোনা মুক্তাদিদের ওপর ফরজ। আল্লাহ বলেছেন,

    وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ

    যখন কোরআন পড়া হয়, তখন চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শোনো, হয়তো তোমাদের দয়া করা হবে। (সুরা আরাফ: ২০৪)

    ইমাম রুকুতে চলে যাওয়ার পর কেউ জামাতে শরিক হলেও সানা না পড়ে ইমামকে অনুসরণ করে রুকুতে চলে যেতে হবে। অনেকে এ সময় সানা পড়তে গিয়ে ওই রাকাতই ছেড়ে দেয়, এটা ঠিক নয়।

    ইমাম রুকুতে যাওয়ার পর জামাতে শরিক হলে মুক্তাদি দাঁড়ানো অবস্থায় তাকবিরে তাহরিমা বলবে। তারপর হাত না বেঁধে আবার তাকবির বলে রুকুতে চলে। রুকুর জন্য আলাদা তাকবির না বললেও সমস্যা নেই। সাহাবিদের থেকে এ রকম ক্ষেত্রে রুকুর তাকবির বলা ও না বলা উভয় রকম আমলই বর্ণিত রয়েছে।

    অর্থ ও উচ্চারণসহ সানা

    হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যখন নামাজ শুরু করতেন, তখন বলতেন,

    سُبْحَانَكَ اَللَّهُمَّ وَ بِحَمْدِكَ وَ تَبَارَكَ اسْمُكَ وَ تَعَالِىْ جَدُّكَ وَ لَا اِلَهَ غَيْرُكَ

    উচ্চারণ : সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা।

    অর্থ : হে আল্লাহ, আমি আপনার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করছি। আপনার নাম অতি বরকতময়। আপনি সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী এবং আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। (সুনানে আবু দাউদ: ২৪৩)

    পুরো নামাজে একবারই সানা পড়তে হয়, একাধিকবার পড়ার নিয়ম নেই। কেউ নামাজে মাসুবক হলে এবং সানা পড়ার সুযোগ না পেলে ইমামের সঙ্গে নামাজ শেষে যখন ছুটে যাওয়া নামাজের জন্য দাঁড়াবেন তখন সানা পড়ে নেবেন।


    দৈএনকে/জে,আ
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ