সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
Natun Kagoj
শিরোনাম
  • ইসলামিক এনজিওগুলোকে সামাজিক ব্যবসায় এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১০০ জনকে হাজির হওয়ার নির্দেশে গেজেট প্রকাশ সংস্কারবিরোধী দেখানোর চেষ্টা চলছে পরিকল্পিতভাবে: মির্জা ফখরুল ইউএস বাংলার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জব্দকৃত জমি বিক্রির অভিযোগে ফের বিতর্কে তারিক সিদ্দিক নতুন প্রস্তাবে স্থবিরতা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিয়ে উদ্বেগ: ফখরুল যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর খামেনির জনসমক্ষে আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশে জঙ্গি তৎপরতার কোনো সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা শেষের নাটকে মোস্তাফিজের জাদু, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সিরিজে বাঁচল বাংলাদেশ এশিয়ান কাপে দুর্দান্ত আগমন, তুর্কমেনিস্তানকে গোল বন্যায় ভাসাল বাংলাদেশ নারী দল
  • ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গানে সন্‌জীদা খাতুনকে বিদায় জানালো ছায়ানট

    ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গানে সন্‌জীদা খাতুনকে বিদায় জানালো ছায়ানট
    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ গানের মাধ্যমে ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান সভাপতি, বিশিষ্ট সংস্কৃতিজন, রবীন্দ্র গবেষক ও সংগীতজ্ঞ সন্‌জীদা খাতুনকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানিয়েছে ছায়ানট।

    বুধবার (২৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার মরদেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষবারের মতো তাকে দেখতে সকাল থেকেই ছায়ানট ভবনে আসতে শুরু করেন সংগীতপ্রেমী মানুষেরা। সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ ছায়ানটে পৌঁছালে রবীন্দ্রসংগীত ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ পরিবেশন করেন উপস্থিত সবাই। ফুলে ফুলে শ্রদ্ধায় ভরে উঠে সন্‌জীদা খাতুনের মরদেহ রাখার বেদী।

    জানা যায়, ছায়ানটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।

    প্রসঙ্গত,মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সন্‌জীদা খাতুন। গত এক সপ্তাহ ধরে তিনি এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

    সন্‌জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। বাবা কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন জাতীয় অধ্যাপক। মা সাজেদা খাতুন গৃহিণী। সন্‌জীদা খাতুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৫৪ সালে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, ১৯৫৫ সালে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর এবং ১৯৭৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শিক্ষকতা দিয়েই তার কর্মজীবন শুরু।

    তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দীর্ঘকাল অধ্যাপনা করেছেন। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বহু পুরস্কার পেয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্রস্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত), দেশিকোত্তম পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত)।

    এছাড়া কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট ১৯৮৮ সালে তাকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি দেয়, ২০১৯ সালে ‘নজরুল মানস’ প্রবন্ধ গ্রন্থের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক-সমকাল সাহিত্য পুরস্কার পান তিনি। ২০২১ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।


    গুগল নিউজে (Google News) নতুন কাগজ’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ

    আরও পড়ুন